দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে মুঠোফোনের ব্যবহার। যোগাযোগ রক্ষা থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে এই ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল সমাজের প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষই। তবে অনেকে অপ্রয়োজনেও ব্যবহার করে মোবাইলফোন। এর প্রতি মানুষের আসক্তি দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। ঘরে বসে খাওয়ার সময়ও মানুষ আজকাল ফোনে মগ্ন থাকে। কেউ কারও সাথে সামনা সামনি বসে কথা বলবে এমনটা দেখায় যায় না। ঘরের ভেতরও একই কাণ্ড। ঘরভরা মানুষ, কিন্তু কারও সঙ্গে কারও যেন সংযোগ নেই। সবাই ব্যস্ত ফোন নিয়ে। যেন ফোন ছাড়া চলছেই না।
এমন পরিস্থিতিতে যদি বলা হয়- স্মার্টফোন ছাড়া একদিন থাকতে, তাহলে কী সেটা সম্ভব। কঠিন হলেও চাইলে এমনটা করতে পারেন। কারণ আজ ২০ জানুয়ারি, ‘বাড়িতে ফোন ছাড়া দিন’ (নো ফোনস অ্যাট হোম ডে)।
গত বছর জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের মনোরোগ চিকিৎসক শার্লট আর্মিটেজ দিনটি চালু করেন। প্রযুক্তির চতুর্মুখী থাবাকে পাশ কাটিয়ে অন্তত একটি দিন কাটানো যাক। একটি দিন থাকুক পরিবারের মানুষদের জন্য। মুঠোফোন বন্ধ রেখে বাবা-মা, স্ত্রী-ছেলে-মেয়ের সঙ্গে কাটুক গোটা দিন।
সব সময় মুঠোফোনে যুক্ত থাকায় মানবিক যোগাযোগ ক্রমশই কমে যাচ্ছে। যার কারণে মুঠোফোন আমাদের ব্যক্তিজীবনের নানা সম্পর্ক বিনষ্ট করছে। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষত তরুণদের ওপর এই প্রভাব অত্যন্ত উদ্বেগজনক বার্তাই দিচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে দেখা যাচ্ছে, তরুণদের মধ্যে যারা দিনে এক ঘণ্টা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করেন, তাদের চেয়ে যারা পাঁচ ঘণ্টা বা তার বেশি করেন, তাদের আত্মহত্যার ঝুঁকি ৭১ শতাংশ বেশি।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত