কুরবানীর পশুর বেশির ভাগ চামড়া এখনো ভারতের দালাল সিন্ডিকেটের কাছে ঠিকমতো পৌছে যায়নি। যারা কুরবানী দাতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন তাদের কাছে রয়ে গেছে এখনো; অথবা কওমী দেশের প্রসিদ্ধ মাদ্রাসাগুলোতে রয়ে গেছে। এই চামড়া পানির দামের বিক্রি হচ্ছে। গরীব ও এতিমের হক পানির দামে বিক্রি না করে হয় চামড়া খেয়ে ফেলুন, না হয় মাটিতে পুতে ফেলুন, না হয় ক্রয় করে নিজের কাছে রেখে দিন।
খাওয়ার কথা-ই আগে বলি। চামড়া কি খাওয়া যায়? আমি খাইনি কোনদিন। শুনেছি খাওয়া যায়। একজন লিখেছেন, ‘‘চামড়া খাওয়া যায়। সম্পুর্ন হালাল।’’ দলীল সহ তাহলে আসুন আমার চামড়া খাওয়া শুরু করি—!!
আসুন জেনে নেই চামড়া খাবার পদ্ধতি:–
টুকরো টুকরো করে গরম পানিতে চামড়া ডুবিয়ে দিলে পশম উঠে আসে (হাঁস-মুরোগের চামড়া যেভাবে হয়)। আফ্রিকার অনেক দেশে নাকি গরুর চামড়া দিয়ে অনেক স্পেশাল আইটেমও রান্না করা হয়। নেহারীর মত স্বাদ নাকি। যাহোক, পশম উঠে যাওয়ার পর মূল চামড়া রয়ে যায়, যেটাতে অনেক কোলাজেন থাকে। এটা মাংশের মতই খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য। পানির দামে চামড়া বিক্রি না করে খেয়ে ফেলতে পারেন। সেদ্ধ করার পর চামড়া যেরকম হয় তার একটা ছবি দিলাম।
প্রশ্ন উঠতে পারে, গরীম-এতিমের হক নিজে খাওয়া কি ঠিক হবে? কিংবা মাটিতে দাফন করা বা নিজের কাছে রাখা কি ঠিক হবে? জায়েজ করে এটা করতে পারেন। যেহেতু একটা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ চামড়া দাফন করেছে, সুতরাং দাফন করা যেতে পারে। জায়েজ হবে এভাবে, যে দামে চামড়া বিক্রি হচ্ছে, সেই দামের চাইতে একটু বেশি দামে আপনার গরুর চামড়া আপনি কিনে ফেলুন। অন্যের কুরবানী দেওয়া গরু-ছাগলের চামড়াও আপনি কিনতে পারেন। এই টাকাটা গরীব-এতিমদের দিয়ে দিন, অথবা মাদ্রাসায় দিয়ে দিন।
আমি ২০০ টাকা দরে পাঁচটি চামড়া কিনতে প্রস্তুত। এক হাজার টাকা বাজেট করলাম। এই চামড়া কিনে নিয়ে মাটিতে পুতে ফেলবো। আপনি একটা বাজেট করুন। কিছু চামড়া কিনে ফেলুন। নিজে খেয়ে ফেলুন এই চামড়া, না হয় মাটিতে পুতে দিন।
‘নির্বাচনে হেরে পুলিশের গাড়িতে হামলা, বিজয়ী চেয়ারম্যান আটক’
লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হেরে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়েছে পরাজিত......বিস্তারিত