ঢাকা: মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান উদযাপনকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবাইকে চেক করে ঢোকানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। একুশে ফেব্রুয়ারিতে কোনও নাশকতার আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।
বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির পর উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শ্রদ্ধা জানাতে আসা সবাইকে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে মূল বেদীতে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া ম্যানুয়ালি ও হ্যান্ডমেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। শহীদ মিনারের বেদীকেন্দ্রিক প্রথম স্তর, শহীদ মিনারের বাইরে দ্বিতীয় স্তর, দোয়েল চত্বর-শাহবাগ-নীলক্ষেত-পলাশী-বকশীবাজার কেন্দ্রিক তৃতীয় স্তর ও এর বাইরে আরেক স্তর- সব মিলিয়ে শহীদ মিনারকে ঘিরে মোট চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরা মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বসানো হবে চেকপোস্ট। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড ব্যতীত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে ডাইভারশন থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যতীত ২০ তারিখ সন্ধ্যা ৬টার পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অন্য কোনও গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ গেটে বসানো হবে তল্লাশি চৌকি। বহিরাগত কেউ ২০ তারিখ সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না।’
তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, কূটনীতিক কোরের সদস্যরা মৎস্য ভবন হয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে শহীদ মিনারের পথে যাবেন। এর বাইরে যারা রয়েছেন তাদের সবাইকে পলাশীর মোড় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যেতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ ভিভিআইপিরা শহীদ মিনারে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চলে যাওয়ার পর পলাশীর পথ খুলে দেয়া হবে। তার আগে এ পথ আটকে রাখা হবে। এ অবস্থায় আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি সব ধরনের সহযোগিতা দিতে সব রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে কেউ যেন বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে না পারে, সব পর্যায়ের মানুষ যাতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেন সেজন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দফায় দফায় সমন্বয় সভা করা হয়েছে। এর ভিত্তিতেই এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
সবার সহযোগিতায় ভাষা শহীদদের স্মরণের এই দিনটি সুশৃঙ্খল ও সুন্দরভাবে সুসম্পন্ন হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত