তাইমুন ইসলাম রায়হান: পেশায় বে-সরকারী হাসপাতালের নার্স। বাসায় ১বছরের কন্যা সন্তান। তারপরও পেশার তাগিদে প্রতিনিয়ত কাজ করতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। অফিসে যাওয়ার সময় সন্তানের মলিন মুখ দেখে আর পা আগায় না। আবার অফিস থেকে ফিরে শত ইচ্ছে থাকা সত্বেও গোসল না করে নিজের সন্তানকে কোলো নিতে পারিনা। সবসময় নিজের ভিতর আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমনটাই বললেন বে-সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত এক সিনিয়র স্টাফ নার্স।
তিনি জানান, আমি সরকারি হাসপাতাল থেকে নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারিতে ডিপ্লোমা শেষ করেছি। পাশ করে বের হওয়ার পর সরকারি সার্কুলার না পাওয়ায় ঢাকায় ১টা বে-সরকারী হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসাবে কর্মরত আছি। আমাদের হাসপাতালে করোনাভাইরাসের রোগী ভর্তি করা হয় না। তারপরেও আমরা ঝুঁকির বাহিরে না। হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের রোগী ভর্তি হয়। তাদেরকে দেখার দায়িত্ব আমাদের। সব মিলিয়ে মানসিক ভাবে খুবই চাপের মধ্যে আছি। বেশি ভয় হয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে। বাসায় ১ বছরের ছোট মেয়ে। শাশুড়ীও শ্বাসের রোগী।
অনেকে বলে এত রিক্সের মধ্যে জব করার প্রয়োজন কি ? কিন্তু কি আর করার বাংলাদেশে এমনেতেই জবের খুব ক্রাইসেস। এই মুহুর্তে জব ছেড়ে দিলেও পরিবার নিয়ে পরতে হবে সমস্যায়। হাজমেন্ট জব করে কিন্তু আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের ১জনের ইনকাম দিয়ে চলা খুবই কষ্টকর। এত মানসিক চাপের মাঝেও চালিয়ে যাচ্ছি জীবন সংগ্রাম। তবে এভাবে আর কতদিন চলেবে জানিনা। যারা সরকারি হাসপতালে চাকুরী করে তাদের না হয় পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য কিছু হলেও আর্থিক প্রনোদনা দেয়া হবে, আমাদের তো সেই ব্যবস্থাও নেই। সরকারের কাছে একটাই প্রত্যাশা দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে আমাদের কথাও একটু চিন্তা করবেন।
লেখক: সাংবাদিক।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত