“নীগার সুলতানা ইয়াসমীন”
আজ ১৫ই আগষ্ট। কি লিখব ভাবতে ভাবতে মনটা আনমনা হয়ে সবজির জায়গায় ছুরিটা লাগল হাতে। রক্ত ঝরছে, বন্ধ করার চেষ্টা করছি, সামান্য রক্ত আমাকে বিচলিত করছে, অথচ বেঈমানের দল সেদিন এত রক্ত কিভাবে ঝরাতে পারল? তারা নরপিশাচ। মনটা গভীর ভারাক্রান্ত। বঙ্গবন্ধুর কি অপরাধ? উত্তর যদি বলি নিজের প্রানের চেয়ে বেশী এই দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা, এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য বারবার শত্রুর গুহায় মৃত্যুর মুখে পতিত হওয়া, দূর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চাওয়া, বাংলার প্রতিটি মানুষ পেট ভরে খেতে পাবে সাথে সকলের মুখে হাসি ফোটাতে চাওয়া, কৃষক শ্রমিকের পক্ষে থাকা, হিন্দু মুসলমান সকল ধর্মের মানুষ সুখে শান্তিতে বাস করুক চাওয়া।
তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে উন্নত করে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়া। যে মানুষটা বাংলার মানুষ ছাড়া কিছুই বুঝল না, জীবনের সময় নিজের জন্য নয়, ব্যয় করল বাংলার মানুষের দু:খ কষ্ট লাঘবের জন্য, তার রক্ত প্রবাহিত করে বাংলাকে কেবল কলংকিত করেনি, শিশু রাসেলকে হত্যা করে তার পরিবারেব সমাপ্তি টানতে চেয়েছিল হয়ত, কিন্তু তারা জানে না বিধাতার পরিকল্পনা, নারীর শক্তি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা। তারা পিতার খুনীদের বিচার করে বাংলাকে দায়মুক্ত করেছে সাথে শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে গড়ার চেষ্টায় রত। সাধুবাদ জানাই তাদের আর যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসেন সবাই উনার কর্ম ও আদর্শকে ধারন করে বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতকে শক্তিশালী করুন পরগাছা হয়ে লজ্জিত করবেন না।
তবেই উনার আত্না শান্তি পাবে। জাতির পিতা ও পরিবারের সকল সদস্য যারা আজকের দিনে ধরনীর বুক থেকে বিদায় নিয়েছে সকলকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানাই ও দোয়া করি ওপারে শান্তিতে করুক বাস আমাদের করুক মাফ।
পরিশেষে জাতির পিতার একটি মূল্যবান উক্তি- “বাংলার উর্বর মাটিতে যেমন সোনা ফলে, ঠিক তেমনি পরগাছাও জন্মায়! একইভাবে, বাংলাদেশে কতকগুলো রাজনৈতিক পরগাছা রয়েছে, যারা বাংলার মানুষের বর্তমান দুঃখ-দূর্দশার জন্য দায়ী।”
‘নির্বাচনে হেরে পুলিশের গাড়িতে হামলা, বিজয়ী চেয়ারম্যান আটক’
লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হেরে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়েছে পরাজিত......বিস্তারিত