নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের বিয়ানী বাজারে নির্বাচনী সহিংসাতায় আলতাফ হোসেন নিহতের ঘটনার মামলার আসামাীরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ বলছে খুনের এ মামলার আসামীদের তারা আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের বাড়িতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তাদের খুজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খুজে পাওয়া গেলেই তাদের আটক করা হবে।
এর আগে গত ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিয়ানী বাজার ১০ নম্বর মুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভোটকেন্দ্রে সহিংসতায় গুলিতে নিহত হন আলতাফ হোসেন। তার বাড়ী বিয়ানী বাজারের গুঙ্গাদিয়া গ্রামে। তিনি স্থানীয় রুহুল আমিনের ছেলে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামী করে বিয়ানী বাজার থানায় মামলা হয়েছে। আসামীরা হলেন একই এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে বিএনপি সমর্থক মোস্তফা আহমদ, রশিদ আহমদ এর ছেলে মোঃ ফরিদ আহমদ, আব্দুল করিমের ছেলে মোঃ ইসলাম উদ্দিন ও মুফজিল আলীর ছেলে কয়েছ আহমদ।
পুলিশ জানায়, ভোট দেয়া নিয়ে মুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএপি নেতা মোঃ ফরিদ আহমদ এর সমর্থকদের মধ্যে প্রতিপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে আলতাফ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সংঘর্ষে আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক। এ ঘটনার পর বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফরিদ আহমদ এর নির্বাচনী এজেন্ট মোস্তফা আহমদসহ অন্য তিনজন, চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফরিদ আহমদ, মোঃ ইসলাম উদ্দিন ও কয়েছ আহমদকে আসামী করে মামলা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল তিনটার দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হুমায়ুন কবীর গুঙ্গাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দরজা বন্ধ করে ভেতরে ব্যালটে সিল মারতে থাকেন। এতে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালালে তাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলতাফ হোসেন মারা যায়।
মামলার পর অভিযুক্ত বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফরিদ আহমদ এর নির্বাচনী এজেন্ট মোস্তফা আহমদসহ আসামীদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালালেও কাউকে আটক করতে পারে নি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। যেকোনো সময় তাদের আটক করা হবে।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত