TadantaChitra.Com | logo

২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পল্টন গার্লস কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ!

প্রকাশিত : নভেম্বর ১২, ২০১৯, ১৮:৫৬

পল্টন গার্লস কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুরানা পল্টন গার্লস কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ ইস্রাফিলের নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে অপসারণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে সম্প্রতি অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রচলতি নিয়ম-বিধি উপেক্ষা করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ কমিটির সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দেন। নিয়োগ কমিটির চার সদস্যের মধ্যে দুজন মনির আহমেদ মনা ও জামিল আহমেদ খান গত ২৫-০৮-২০১৯ তারিখে সভাপতি বরাবরে লিখিত আপত্তিপত্রে উল্লেখ করেন, নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ত্রুটিপূর্ণ দরখাস্ত জমা দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। কলেজ কর্তৃক নির্দেশিত ২ হাজার টাকার পে-অর্ডার জমা দেননি।

দরখাস্তে সহকারী অধ্যাপকের অভিজ্ঞতা এবং ২১ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার তথ্য যাচাইয়ের পর অসত্য ও মিথ্যা বলে মনে হয়েছে। কোনো প্রার্থী আবেদন করলে পূর্বের যে প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মরত ছিলেন তার প্রত্যেকটির অভিজ্ঞতার সনদ দেওয়া হয়।

প্রার্থী তার দরখাস্তে উল্লেখ করেছেন, তিনটি প্রতিষ্ঠানে তিনি কর্মরত ছিলেন কিন্তু জমা দেন শুধুমাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতার প্রত্যয়নপত্র। এছাড়া এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে তথা কলেজে দরখাস্ত করতে হলে আগের এমপিও প্রাপ্তির এমপিও সিট দরখাস্তের সঙ্গে দিতে হবে। কিন্তু দরখাস্তকারী কোনও এমপিও সিট দেননি।

নিয়োগ বোর্ডের প্রতিবাদী দুই সদস্যদের মধ্যে মনির হোসেন মনা হলেন গভর্নিং বডির দাতা সদস্য এবং জামিল আহমেদ খান হলে শিক্ষানুরাগী সদস্য।

দুজনে গভর্নিং বডি সভাপতিকে আপত্তিপত্র প্রদানের পর গত ০৭-১০-২০১৯ তারিখে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছেন। তাতে উল্লেখ করেন, গভর্নিং বডির দাতাসদস্য এবং শিক্ষানুরাগী সদস্যের মতামত উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারী ও অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে তাড়াহুড়া করে সবার অজান্তে গত ০১-১০-২০১৯ তারিখে গভর্নিং বডি এবং এলাকাবাসীর বিপক্ষে অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় গভর্নিং বডির সভাপতি লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখেন। শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষায় অধ্যক্ষ নিয়োগ সম্পন্ন করেন।

জামিল আহমেদ খান জানান, মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষা বোর্ডের ডিজি প্রেরিত প্রতিনিধির উপস্থিতিতে আপত্তি জানাই। সভাপতি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সম্পূর্ণ যাচাই করে তাদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানান কিন্তু তিনি তা করেননি।

নিয়োগ কমিটির অপর সদস্য মনির আহমেদ মনা বলেন, “নিয়োগ বোর্ডের সদস্যগণের দেয়া নম্বরপত্রসমূহ একত্র করে রেজাল্ট সিট প্রস্তুত করা ছাড়াই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিভিন্ন মহলকে কে প্রথম কে দ্বিতীয় অর্থাৎ ফলাফল প্রচার করছেন; যা সম্পূর্ণ রূপে বিধিবহির্ভূত।” তারা বলেন, “ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের পরে পূর্ণকালীন নিয়োগের আগে কলেজের যাবতীয় অর্থ-সংক্রান্ত হিসাবদি সম্পন্ন করার কথা, যা করা হয়নি।”

অভিযোগ বিষয়ে মোহাম্মদ ইস্রাফিলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘সব নিয়ম মেনেই অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে, ভিকারুন নেসার অধ্যক্ষ হাসিনা বেগমের সাথে কথা বলে দেখেন। অভিযোগকারী দুজনও স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরের পর অভিযোগ করলে তো হবে না। যা বলা হচ্ছে মিথ্যা ও বানোয়াট।’

এলাকার স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘অধ্যক্ষ নিয়োগের কোনো অভিযোগের কথা আমরা জানা নেই। আমি যতটুকু জানি দেড় মাস আগে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অনিয়ম-সেচ্ছাচারিতার বিষয়ে জানা নেই। কিছু সমস্যার কথা শুনেছি, তা সমাধান হয়ে গেছে।’

এদিকে সাবেক অধ্যক্ষ ড. মুর্তুজা আলী মন্ডল বলেন, কলেজের সভাপতি আমার পেনশনের টাকা জন্য গেলে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তিনি আর্থিক লেদেনের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছেন। গভার্নিং বডি দুই সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে স্বাক্ষর করেছেন। বিগত দশ বছর ধরে থাকা গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে হচ্ছে আর্থিক লেনদেন করে সর্বকনিষ্ঠ প্রভাষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ ও দায়িত্ব প্রদান। প্রবিধান ৩৬ এর লংঘন। কলেজের জমি-সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে সভাপতির নিরবতা এবং মামলায় আপিল বিভাগ থেকে ২০১৪ সালে হেরে যাওয়া এবং রিভিউতেও হেরে যাওয়ার পরও প্রতিক্রিয়া এডভোকেট হওয়া স্বত্ত্বেও নির্লিপ্ত থাকা। শিক্ষার্থী সংগ্রহে নীতিমালা গঠন না করা ও সময় না দেওয়ার কারণে কলেজে ডিগ্রি পাশ কোর্স বন্ধ হয়ে যাওয়া। ঠিকাদারের কাছ থেকে সাত লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি। কলেজের এফডিআরের লভ্যাংশ উত্তোলন করে আত্মসাৎ।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।